এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের মেডিল্যাব হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় কটিয়াদীর তানিয়া আক্তার (৩০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদরের মেডিল্যাব হেলথ কেয়ার সেন্টার হাসপাতাল থেকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তানিয়া কটিয়াদী পৌরসভার পূর্বপাড়া এলাকার মাহমুদ হাসানের স্ত্রী ও উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালের দিকে তানিয়ার প্রসব ব্যথা শুরু হলে কিশোরগঞ্জ সদরের স্টেশন রোডে মেডিল্যাব হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দুপুরের দিকে চিকিৎসক ডা: নাসিমাতুল জান্নাত মিতুল তাকে সিজার করাতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সিজারে ছেলে সন্তান জন্ম হয়।
তানিয়ার স্বামী মাহমুদুল হাসান বলেন, শুক্রবার, দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সিজারে ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তখন মা ছেলে উভয়ই সুস্থ ছিল। তারপর আমাদের সাথে ২টা ৪০ মিনিটে তানিয়ার সাথে কথাবার্তা হয়, তখন স্বাভাবিক ছিল। পূর্বে ডাক্তার রক্ত সংগ্রহের কথা বলেনি। এমনকি ব্লাড না লাগানোর কথাও আমাদের জানায়। কিন্তু পরবর্তীতে অন্য রোগীর ব্লাড তার শরীরে পুশ করে। রোগীর অবস্থা জটিল হতে থাকলে রাত ৯টা ১০ মিনিটে রিলিজ দিয়ে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলে। কিন্তু পুলেরঘাট বাজার যেতে না যেতেই রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতক হারালো তার মাকে, ভাই হারালো তার বোনকে, স্বামী হারালো তার স্ত্রীকে, মা হারালো তার মেয়োকে। অবহেলা কার, দায় কার প্রশ্ন জনমনের?
তানিয়ার ভাই রাজন বলেন, আমার বোনকে তারা মেরে ফেলছে। আমি তাদের বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে ডাক্তার নাসিমাতুল জান্নাত মিতুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ওই চিকিৎসক আমাদের এখানে নিয়মিত সিজার করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের রিপোর্ট না করারও অনুরোধ জানান।
কিশোরগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল মর্গে নেয়া হয়েছে।